জমি ও বাড়ির দলিলের সার্টিফাইড কপি: রাজ্য সরকারের নতুন ডিজিটাল সেবা ও সুবিধা”

কপি

জমি ও বাড়ির দলিলের সার্টিফাইড কপি: এখন থেকে অনলাইনে পাওয়া যাবে

বর্তমানে জমি ও বাড়ির দলিলের সার্টিফাইড কপি পাওয়া নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে যে সমস্যা দেখা দিচ্ছিল, তা আর থাকছে না। রাজ্য সরকার নতুন একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার ফলে ১৯৮৫ সাল থেকে পরবর্তী জমি ও বাড়ির দলিলের সার্টিফাইড কপি এখন থেকে অনলাইনে সরাসরি পাওয়া যাবে। এই সিদ্ধান্তটি মূলত জমি এবং বাড়ির দলিলের সার্টিফাইড কপি পাওয়ার ক্ষেত্রে দালাল চক্রের জটিলতা দূর করার জন্য নেওয়া হয়েছে।

জমি ও বাড়ির দলিলের সার্টিফাইড কপির জন্য দালাল চক্র

অনেক সময় দেখা গেছে, জমি এবং বাড়ির দলিলের সার্টিফাইড কপি পাওয়ার জন্য সাধারণ মানুষকে অতিরিক্ত টাকা দিতে হতো। এই টাকা সাধারণত দুই হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে, এবং সেই টাকা সাধারণ মানুষকে দালালদের মাধ্যমে দিতে বাধ্য করা হত। দালাল চক্রের এই কার্যক্রম মানুষের জন্য অস্বস্তিকর হয়ে উঠেছিল, কারণ সার্টিফাইড কপি পাওয়ার জন্য অযথা অর্থ খরচ করতে হতো।

এখন, রাজ্য সরকারের এই নতুন উদ্যোগের মাধ্যমে এই দালাল চক্রের কার্যকলাপ বন্ধ করা যাবে, এবং সাধারণ মানুষ সহজেই তাদের জমি ও বাড়ির দলিলের সার্টিফাইড কপি অনলাইনে পেয়ে যাবেন। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা সাধারণ মানুষের জন্য অনেক সুবিধা নিয়ে আসবে।

১৯৮৫ সালের পরের দলিলের সার্টিফাইড কপি অনলাইনে

রাজ্য সরকারের নতুন উদ্যোগ অনুযায়ী, ১৯৮৫ সাল থেকে যে সমস্ত জমি ও বাড়ির দলিল রেজিস্ট্রেশন হয়েছে, তাদের সার্টিফাইড কপি এখন থেকে অনলাইনে পাওয়া যাবে। এতদিন, অফিসে গিয়ে জমা দিতে হত বা দালাল চক্রের মাধ্যমে এই সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করতে হতো। তবে এখন, রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে সাধারণ নাগরিকরা আর দালাল চক্রের শিকার হবেন না।

এখন থেকে শুধু অনলাইনে গিয়ে, সহজেই এবং দ্রুততার সাথে তারা তাদের সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করতে পারবেন। এই ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে, নাগরিকদের জন্য জমি এবং বাড়ির দলিলের সার্টিফাইড কপি পাওয়ার প্রক্রিয়া অনেক সহজ হয়ে যাবে এবং তারা অযথা টাকা খরচ করতেও বাধ্য হবেন না।

১৯৬৫ থেকে ১৯৮৫ সালের দলিলের সার্টিফাইড কপি: ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়া

এখন পর্যন্ত ১৯৮৫ সালের পর থেকে জমি ও বাড়ির দলিল রেজিস্ট্রেশন হয়েছে, কিন্তু ১৯৬৫ সাল থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত যেসব দলিল রেজিস্ট্রেশন হয়েছে, সেগুলোর ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়া চলছে। অর্থাৎ, ১৯৬৫ সাল থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত যে সমস্ত জমি ও বাড়ির দলিল রেজিস্ট্রেশন হয়েছে, সেগুলোও শীঘ্রই অনলাইনে পাওয়া যাবে।

এখন কিছুটা সময় লাগবে, কারণ এই দলিলগুলোর ডিজিটালাইজেশন কাজ চলছে। তবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে খুব শীঘ্রই এই প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হবে এবং ওই সময়ের মধ্যে জমি ও বাড়ির দলিলের সার্টিফাইড কপিগুলো অনলাইনে পাওয়া যাবে। এর ফলে, ১৯৬৫ সাল থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত যারা সার্টিফাইড কপি পেতে চাচ্ছেন, তাদের জন্যও এটি একটি আশাব্যঞ্জক খবর।

সার্টিফাইড কপি পাওয়ার জন্য কী কী ডকুমেন্ট লাগবে?

অনলাইনে জমি ও বাড়ির দলিলের সার্টিফাইড কপি পাওয়ার জন্য সাধারণত আগের মতোই একই ধরনের ডকুমেন্ট সাবমিট করতে হবে। অনলাইনে আবেদন করার সময়, যে ডকুমেন্টস আগে জমা দিতে হতো, সেগুলিই অনলাইনে আপলোড করতে হবে। এর মধ্যে জমি বা বাড়ির মালিকানা প্রমাণ করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস যেমন রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ট্যাক্স রশিদ, জমির পৈত্রিক কাগজপত্র ইত্যাদি থাকতে পারে।

রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নতুন কোনো বিষয় যোগ করা হয়নি, এবং আবেদনকারীদেরকে এই প্রক্রিয়া খুবই সহজ এবং সরল মনে হবে। ২০০৭ সাল থেকে যে সমস্ত রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছিল, তাদের জন্য অনলাইন সেবা ছিলই, তবে এই উদ্যোগের ফলে এই প্রক্রিয়া আরও সহজ হবে এবং সবাই একই নিয়মে অনলাইনে সার্টিফাইড কপি পেতে পারবেন।

খরচের পরিমাণ: অত্যন্ত কম

যে সার্টিফাইড কপির জন্য সাধারণ মানুষ আগে ২০০০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ করতেন, সেটি এখন মাত্র ১০০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এই খরচ খুবই কম এবং তা সাধারণ মানুষের জন্য অতি সুলভ হবে। ফলে, সাধারণ নাগরিকরা অত্যধিক খরচ ছাড়াই তাদের জমি ও বাড়ির দলিলের সার্টিফাইড কপি অনলাইনে পেয়ে যাবেন।

এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা সরকারের কাছ থেকে সরাসরি উপকারিতা নিয়ে আসবে। এ ধরনের পদক্ষেপের মাধ্যমে সরকার শুধু দালাল চক্রকে হ্রাস করতে সক্ষম হবে না, বরং সাধারণ মানুষের জন্য আরও সহজ এবং সুবিধাজনক প্রক্রিয়া প্রদান করবে।

জমি ও বাড়ির দলিলের সার্টিফাইড কপি পাওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের এই নতুন উদ্যোগ সাধারণ মানুষের জন্য একটি বড় সুবিধা নিয়ে এসেছে। ১৯৮৫ সাল থেকে পরবর্তী রেজিস্ট্রেশন হওয়া জমি ও বাড়ির দলিলের সার্টিফাইড কপি এখন থেকে অনলাইনে পাওয়া যাবে, এবং ১৯৬৫ সাল থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত যে জমি ও বাড়ির দলিল রেজিস্ট্রেশন হয়েছে, সেগুলোর ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এটি একদিকে যেমন সাধারণ মানুষের জন্য সময় এবং খরচের ব্যাপারে সুবিধাজনক, তেমনি দালাল চক্রের কার্যকলাপ কমানোর দিকে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *