কোডিং চাকরির অবসান? নারায়ণা মূর্তির এআই বুদ্বুদ মন্তব্য, গুগলের এআই রোবট এবং আবেগীয় এআই টেক নিউজ #2

Your paragraph text 9

১. জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা নতুন ১২৮টি শনি চাঁদ আবিষ্কার করেছেন।

সম্প্রতি, জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা শনি গ্রহের চারপাশে ১২৮টি নতুন চাঁদ আবিষ্কার করেছেন, যা গ্রহটির মোট চাঁদের সংখ্যা ৮২টি থেকে বেড়ে ১১৮টি হয়েছে। এই আবিষ্কারটি স্যাটেলাইটগুলো থেকে প্রাপ্ত নতুন তথ্য এবং উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে সম্ভব হয়েছে। এসব চাঁদের বেশিরভাগই খুব ছোট এবং অস্বাভাবিক কক্ষপথে ঘুরছে। এই চাঁদগুলির মধ্যে কিছু এমন কক্ষপথে চলাফেরা করছে যা অন্য চাঁদগুলোর চেয়ে অনেকটা ভিন্ন, এবং তারা আরও নানা ধরনের বৈজ্ঞানিক গবেষণার সুযোগ তৈরি করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, এ ধরনের চাঁদগুলির গঠন এবং কক্ষপথের বৈশিষ্ট্যগুলি আমাদের সৌরজগতের উদ্ভব সম্পর্কে আরও গভীর ধারণা দিতে পারে। শনি গ্রহের চাঁদগুলির মজবুত বিশ্লেষণ থেকে বিজ্ঞানীরা আরও নানা ধরনের তথ্য পেতে পারেন, যা ভবিষ্যতে পৃথিবীর বাইরে জীবন এবং অন্যান্য গ্রহের কক্ষপথের আচরণ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করবে।


২. জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা একটি নতুন ‘সুপার-আর্থ’ গ্রহ আবিষ্কার করেছেন।

সম্প্রতি, জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা একটি নতুন ‘সুপার-আর্থ’ গ্রহ আবিষ্কার করেছেন, যা আমাদের সৌরজগতের বাইরের একটি আকাশগঙ্গায় অবস্থিত। এটি পৃথিবীর তুলনায় ২.৫ গুণ বৃহত্তর, এবং এটি একটি অভিন্ন গ্যাসীয় পরিবেশে ঘেরা। এই গ্রহটি খুবই আগ্রহজনক কারণ এর অবস্থান এবং গঠন বিজ্ঞানীদের জন্য জীবনের উপস্থিতি খোঁজার জন্য সম্ভাব্য নতুন জায়গা হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নতুন গ্রহটি একটি বিশেষ ধরনের অঞ্চলে অবস্থান করছে, যেখানে পানির উপস্থিতি এবং জীবন ধারণের উপযুক্ত পরিবেশ থাকতে পারে। এই আবিষ্কারটি পৃথিবী থেকে বহুদূরে থাকা গ্রহগুলির ভূতত্ত্ব ও আবহাওয়া নিয়ে নতুন ধারণা তৈরি করতে সাহায্য করবে। ভবিষ্যতে, আমরা হয়তো এই ধরনের গ্রহে জীবনের সন্ধান পাব, যা মহাকাশে মানুষের বাসযোগ্য স্থান খোঁজার প্রয়াসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সুপার-আর্থের এই আবিষ্কার পৃথিবীর বাইরে জীবন খোঁজার গবেষণার ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।


৩. বিজ্ঞানীরা পানি বেঁকিয়ে ভাসমান বস্তু নিয়ন্ত্রণের নতুন উপায় আবিষ্কার করেছেন।

বিজ্ঞানীরা একটি নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন, যার মাধ্যমে পানি বেঁকিয়ে ভাসমান বস্তু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। এই প্রযুক্তি সায়েন্সের এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে, যা ভাসমান বস্তু বা মাইক্রোস্কোপিক আইটেমগুলোকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সহজেই স্থানান্তরিত করতে সাহায্য করবে। এই প্রক্রিয়ায়, পানি এক ধরনের নির্দিষ্ট গতিতে বেঁকে ভাসমান বস্তুগুলিকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পরিচালনা করতে পারে। এতে অটোমেটেড সিস্টেমে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে, যা বিভিন্ন শিল্পে যেমন লজিস্টিকস, পরিবহন এবং প্রোডাকশন লাইনে ব্যবহৃত হতে পারে। বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন, এই প্রযুক্তি ভবিষ্যতে চিকিৎসা, রোবটিক্স, পরিবহন এবং অন্যান্য উন্নত ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এই গবেষণাটি ভবিষ্যতের প্রযুক্তির জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হতে পারে, যেখানে আমরা আরো নিখুঁত এবং পরিবেশবান্ধব সিস্টেম দেখতে পাব।


৪. বিজ্ঞানীরা ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আলো স্থির করে রেখেছেন।

বিজ্ঞানীরা ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আলো স্থির করে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। এই প্রযুক্তি বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের জন্য এক উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি, যা পরবর্তীতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার পেতে পারে। সাধারণত, আলো একটি গতিশীল শক্তি, যা নির্দিষ্ট সময়ে তার গতি পরিবর্তন করে। তবে এবার বিজ্ঞানীরা এক নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন, যার মাধ্যমে তারা আলোকে স্থির রাখতে সক্ষম হয়েছেন। এই প্রযুক্তি, যে কোনও সিস্টেমের ভিতরে আলোকে স্থির করার মাধ্যমে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে যেমন ডেটা ট্রান্সফার, যোগাযোগ ব্যবস্থাপনা, এবং বিভিন্ন ধরনের সাইন্যাল প্রক্রেসিং। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন যে এই আবিষ্কারটি পরবর্তী সময়ের মধ্যে কম্পিউটিং, অডিও এবং ভিডিও প্রযুক্তি, এমনকি চিকিৎসা ক্ষেত্রে অমূল্য অবদান রাখবে। এই প্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি করতে পারে।


৫. আগামী ৬ মাসে, এআই কোডের ৯০% লিখতে সক্ষম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিশ্বের একাধিক প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ এবং গবেষকরা ধারণা করছেন যে, আগামী ছয় মাসের মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সফটওয়্যার উন্নয়নে এক বিপ্লব ঘটাতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এআই ভবিষ্যতে সফটওয়্যার কোডিংয়ের প্রায় ৯০% কাজ সম্পাদন করতে সক্ষম হবে। বর্তমানে, অনেক প্রতিষ্ঠান এবং প্রযুক্তি কোম্পানি এআই মডেল ব্যবহার করে কোড লেখার কাজ দ্রুত এবং সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হচ্ছে। মেশিন লার্নিং এবং নিউরাল নেটওয়ার্কের সাহায্যে, এই প্রযুক্তি এমনকি কোডের বাগ খুঁজে বের করতেও সক্ষম। এআই কোডিং-এ সক্ষমতা অর্জন করলে, এটি বিশ্বের সফটওয়্যার শিল্পের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে পারে এবং ডেভেলপারদের কাজকে আরও সহজ এবং দ্রুততর করতে সাহায্য করবে। তবে, এর সাথে সম্পর্কিত কিছু চ্যালেঞ্জও থাকবে, যেমন নিরাপত্তা ঝুঁকি, বৈষম্য, এবং মানুষের চাকরির উপর এর প্রভাব।


৬. নারায়ণ মুরথি ভারতের মধ্যে এআই সম্পর্কে অতিরিক্ত হাইপ নিয়ে সমালোচনা করেছেন।

ভারতের প্রযুক্তি খ্যাতনামা উদ্যোক্তা নারায়ণ মুরথি সম্প্রতি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সম্পর্কে অতিরিক্ত উত্তেজনা ও হাইপ নিয়ে সমালোচনা করেছেন। তিনি মনে করেন যে, বর্তমানে ভারতের প্রযুক্তি ক্ষেত্রের মধ্যে এআই সম্পর্কে অত্যধিক আশাবাদ এবং উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে, যা বাস্তবে খুব একটা ফলপ্রসূ নয়। মুরথি বলছেন, যদিও এআই প্রযুক্তি উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তবে এটির প্রকৃত সুবিধা এবং কার্যকারিতা এখনও কিছুটা পরিস্কার নয়। তিনি আরও বলেন, এর ব্যাপক প্রয়োগের আগে প্রযুক্তি সম্পর্কে আরও গভীর বিশ্লেষণ এবং সতর্কতা প্রয়োজন। মুরথি ভারতের প্রযুক্তি শিল্পের একটি স্থিতিশীল এবং প্রয়োগযোগ্য উন্নয়ন চাইছেন, যেখানে ম্যান-পাওয়ার এবং মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির গুরুত্ব বজায় থাকবে।

৭. “এআই মডেলগুলি এখন কমোডিটাইজড হয়ে যাচ্ছে।”

বিশ্বব্যাপী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, এবং বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন এটি এক ধরনের কমোডিটি বা সাধারণ পণ্য হয়ে যাচ্ছে। এর মানে হল যে, এখন অনেক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তি সহজেই এআই মডেলগুলি ব্যবহার করতে পারছে। এতে আরও বেশি সংখ্যক কোম্পানি এআই ভিত্তিক সেবা এবং পণ্য তৈরির দিকে মনোনিবেশ করছে, যার ফলে প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হচ্ছে। আধুনিক এআই মডেলগুলি অনেক কম খরচে এবং দ্রুততার সাথে তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে, যা ব্যবসাগুলিকে তাদের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করছে। এই প্রযুক্তির সাশ্রয়ী হওয়ার ফলে, বিশেষ করে ছোট ও মাঝারি ব্যবসাগুলির জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। তবে, এআই মডেলগুলির কমোডিটাইজড হওয়ার পাশাপাশি, এর মধ্যে কিছু বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ যেমন নিরাপত্তা, নৈতিকতা এবং বায়াসের মতো বিষয়গুলো উঠে আসছে। এক্ষেত্রে এআই প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রণ এবং সঠিক ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা আরও বাড়ছে। ভবিষ্যতে, এআই মডেলগুলির ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে, তবে সেগুলির সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য আরও শক্তিশালী নীতিমালা এবং প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ প্রয়োজন।


৮. গুগল ‘জেমা-৩’ নামে নতুন একটি অত্যন্ত শক্তিশালী এআই মডেল চালু করেছে যা একক জিপিইউতে চলবে।

গুগল সম্প্রতি তাদের নতুন এআই মডেল ‘জেমা-৩’ (Gemma-3) চালু করেছে, যা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে শক্তিশালী এবং একক গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট (GPU) ব্যবহার করে চলবে। এটি বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে একক কম্পিউটার সিস্টেমে এটি দ্রুত এবং কার্যকরভাবে চলতে পারে। এই নতুন এআই মডেলটি বড় ডেটাসেট এবং জটিল গণনা করতে সক্ষম, যা আগে একাধিক সার্ভার বা শক্তিশালী হার্ডওয়্যার প্রয়োজন ছিল। গুগলের এই উদ্ভাবনটি এআই প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ ব্যবহারে একটি বড় পরিবর্তন আনতে পারে, কারণ এটি অধিক কার্যকরী এবং সাশ্রয়ী। একক GPU ব্যবহার করে এত শক্তিশালী একটি মডেল চালানো সম্ভব হলে, এটি শিল্পের নানা ক্ষেত্রে যেমন, ভাষা প্রক্রিয়াকরণ, চিত্র চিনে নেয়া, এবং ডেটা বিশ্লেষণে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। গুগল ‘জেমা-৩’ মডেলটি এই ধরনের প্রযুক্তিকে আরো উন্নত এবং সম্প্রসারণযোগ্য করে তুলবে, যা বৈশ্বিক পরিসরে আরও বেশি এআই অ্যাপ্লিকেশন ও সেবা সৃষ্টি করবে।


৯. গুগল নতুন একটি এআই চালু করেছে যা রোবটকে প্রশিক্ষণ ছাড়াই কাজ করতে সক্ষম করবে।

গুগল তাদের নতুন এআই প্রযুক্তি চালু করেছে, যা রোবটকে কোনো পূর্ব প্রশিক্ষণ ছাড়াই কাজ করতে সক্ষম করে। এই প্রযুক্তি রোবটিক্সের জন্য একটি বিপ্লবী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, কারণ এর মাধ্যমে রোবটগুলি পরিবেশের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে এবং তাদের কাজ শেখে বাস্তব পরিস্থিতির মাধ্যমে। গুগলের এই নতুন প্রযুক্তি সাধারণভাবে রোবটগুলিকে অনুকূলিত করতে সহায়ক, যেহেতু সেগুলি মানুষ থেকে শিক্ষা নিয়ে অটোমেটিক্যালি তাদের কাজ সম্পাদন করতে পারে। এটি বেশ কয়েকটি খাতে প্রভাব ফেলবে, বিশেষ করে শিল্প উৎপাদন, গুদামজাতকরণ এবং যন্ত্রপাতি মেরামত। এর মাধ্যমে মানব কর্মীর উপর নির্ভরতা কমে যাবে এবং উৎপাদন ক্ষমতা অনেক বাড়বে। বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে, এই প্রযুক্তির সাহায্যে রোবটিক্সের ক্ষেত্রে আমরা একটি বড় উন্নতি দেখতে পাব, যা ভবিষ্যতে রোবটদের আরও বহুমুখী কাজের জন্য সক্ষম করে তুলবে।


১০. আলিবাবা একটি নতুন এআই মডেল উন্মোচন করেছে যা মানুষের অনুভূতি পড়তে সক্ষম।

চীনা প্রযুক্তি জায়ান্ট আলিবাবা সম্প্রতি একটি অত্যাধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেল উন্মোচন করেছে যা মানুষের অনুভূতি বা আবেগ বুঝতে সক্ষম। এই প্রযুক্তি মানুষের মুখাবয়ব, শরীরের ভাষা, কণ্ঠস্বরে পরিবর্তন ইত্যাদির মাধ্যমে তাদের মানসিক অবস্থা এবং অনুভূতি শনাক্ত করতে পারে। আলিবাবার এই মডেলটি বিশেষ করে গ্রাহক সেবা, বিপণন, স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য খাতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে সক্ষম। উদাহরণস্বরূপ, এটি গ্রাহক সেবা খাতে নতুন মাত্রা যোগ করবে, যেখানে এআই গ্রাহকের মনের অবস্থা বুঝে তাদের সেবা প্রদান করতে সক্ষম হবে। এছাড়া, স্বাস্থ্যসেবা খাতে এই প্রযুক্তি রোগীর মানসিক অবস্থা বিশ্লেষণ করে তাদের যথাযথ চিকিৎসা পরামর্শ প্রদান করতে সহায়ক হতে পারে। মানুষের অনুভূতি বুঝতে পারার মাধ্যমে, এটি সামাজিকভাবে আরও সংবেদনশীল এবং কার্যকরী সিস্টেম গড়ে তুলবে, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নতুন সুবিধা সৃষ্টি করতে পারে।


১১. বিজ্ঞানীরা সুরক্ষা এবং উচ্চ শক্তি সম্পন্ন নিকেল-ভিত্তিক ব্যাটারি তৈরি করেছেন যা বৈদ্যুতিন যানবাহনের জন্য উপযুক্ত।

বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি সুরক্ষা এবং উচ্চ শক্তি সম্পন্ন নিকেল-ভিত্তিক ব্যাটারি তৈরি করেছেন যা বৈদ্যুতিন যানবাহনের (ইভি) জন্য নিরাপদ এবং কার্যকর হতে পারে। এই নতুন ব্যাটারিটি বৈদ্যুতিন যানবাহনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, কারণ এটি বিদ্যুৎ সংরক্ষণের পরিমাণ এবং গতি বৃদ্ধি করতে সক্ষম। নিকেল-ভিত্তিক ব্যাটারি সাধারণত বেশি শক্তি ধারণ করতে সক্ষম এবং এর দীর্ঘস্থায়িত্বও থাকে, যা বৈদ্যুতিন যানবাহনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে সুরক্ষা এবং কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য বিজ্ঞানীরা বেশ কয়েকটি নতুন উপকরণ ব্যবহার করেছেন, যা আগের ব্যাটারিগুলির চেয়ে আরও কার্যকরী। এই নতুন ব্যাটারি প্রযুক্তি ইভি শিল্পকে আরও দ্রুত, দীর্ঘস্থায়ী এবং পরিবেশবান্ধব বানাতে সাহায্য করবে। এটি বৈদ্যুতিন যানবাহনের ব্যবহার বৃদ্ধি করতে এবং দূষণ কমাতে বড় ভূমিকা পালন করবে।


১২. চীনা একটি কোম্পানি ৮০% চার্জ করতে ৮.৫৫ মিনিট সময় নিয়েছে বৈদ্যুতিন গাড়ির।

চীনা একটি কোম্পানি সম্প্রতি একটি নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে যা বৈদ্যুতিন গাড়িকে মাত্র ৮.৫৫ মিনিটে ৮০% পর্যন্ত চার্জ করতে সক্ষম। এই প্রযুক্তিটি ইভি শিল্পে একটি বিশাল বিপ্লব এনে দিতে পারে, কারণ এটি গাড়ির চার্জিং সময় অনেক কমিয়ে দেয়। বর্তমানে, ইভি গাড়িগুলির চার্জিং সময় অনেক দীর্ঘ থাকে, যা অনেক ব্যবহারকারীকে বিরক্ত করে এবং তাদের দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করে। তবে এই নতুন প্রযুক্তি দ্বারা চার্জিং সময়ের এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে, যার ফলে ইভি ব্যবহারকারীরা আরও সহজে গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন। এই প্রযুক্তি দীর্ঘমেয়াদীভাবে বৈদ্যুতিন যানবাহনের জনপ্রিয়তা বাড়াতে সাহায্য করবে এবং এই প্রযুক্তি বিশ্বব্যাপী পরিবেশবান্ধব ট্রান্সপোর্ট সিস্টেমের উন্নয়নে এক নতুন দিক উন্মোচন করবে।


১৩. চীন অ্যান্টি-ডাস্ট সৌর প্যানেল তৈরি করেছে।

চীন সম্প্রতি একটি নতুন অ্যান্টি-ডাস্ট সৌর প্যানেল তৈরি করেছে, যা কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। সৌর প্যানেলগুলিতে সাধারণত ধূলিকণা জমে যায়, যা তাদের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। তবে এই নতুন প্রযুক্তি সৌর প্যানেলগুলির উপরে ধূলিকণা জমতে বাধা দেয়, ফলে এটি আরও বেশি শক্তি উৎপাদন করতে সক্ষম হয়। এই নতুন সৌর প্যানেলগুলি সৌর শক্তি উৎপাদনের ক্ষেত্রে আরও কার্যকরী এবং দীর্ঘস্থায়ী হবে। এটি সৌর শক্তি উৎপাদনের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক হবে এবং পরিবেশবান্ধব শক্তির ব্যবহারে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। চীন এই নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে আরও সাশ্রয়ী এবং শক্তিশালী সৌর প্যানেল তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী পরিবেশগত চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে।


১৪. পৃথিবীর প্রথম সলিড-স্টেট এসি মাত্র ১৫ মিনিটে রুম ঠান্ডা করবে শূন্য নির্গমন সহ।

বিশ্বের প্রথম সলিড-স্টেট এয়ার কন্ডিশনার (এসি) তৈরি করা হয়েছে, যা মাত্র ১৫ মিনিটে রুম ঠান্ডা করতে সক্ষম এবং এটি সম্পূর্ণ শূন্য নির্গমন প্রযুক্তির সাহায্যে কাজ করে। এই প্রযুক্তি খুবই পরিবেশবান্ধব, কারণ এতে প্রচলিত এসির মতো হাইড্রোফ্লুরোকার্বন গ্যাসের কোনো নিঃসরণ নেই, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। সলিড-স্টেট প্রযুক্তি দ্রুত ঠান্ডা করার জন্য অত্যাধুনিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ সিস্টেম ব্যবহার করে, যা তাপমাত্রাকে খুব দ্রুত কমাতে সক্ষম। এটি সাধারণ এসির তুলনায় অনেক বেশি দক্ষ এবং সাশ্রয়ী। এই প্রযুক্তি ভবিষ্যতে পরিবেশ বান্ধব এসির বাজারকে বিপ্লবীভাবে পরিবর্তন করতে পারে এবং বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এর ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে।


১৫. একজন অস্ট্রেলিয়ান ব্যক্তি ১০৫ দিন টাইটানিয়াম হৃদয়ের সঙ্গে বেঁচে ছিলেন।

অস্ট্রেলিয়ার একজন ব্যক্তি সম্প্রতি একটি নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে টাইটানিয়াম হৃদয় নিয়ে ১০৫ দিন বেঁচে থাকার রেকর্ড গড়েছেন। এই প্রযুক্তি তাকে তার হারানো হৃদয়ের জায়গায় একটি কৃত্রিম হৃদয় প্রতিস্থাপন করতে সাহায্য করেছে, যা অত্যন্ত উন্নত প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এই পদক্ষেপটি বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে এক উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হিসেবে গণ্য হচ্ছে। এই প্রযুক্তি এমন ব্যক্তিদের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে, যারা হৃদযন্ত্রের রোগে আক্রান্ত। এটি ভবিষ্যতে হৃদরোগীদের জীবনমান উন্নত করতে এবং তাদের জীবনের সুরক্ষা বাড়াতে এক বড় ভূমিকা পালন করতে পারে।


১৬. সনি তাদের প্লেস্টেশন চরিত্রগুলোর জন্য এআই পরীক্ষা করছে।

সনি বর্তমানে তাদের প্লেস্টেশন গেমসের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি পরীক্ষা করছে, যা গেমের চরিত্রগুলোকে আরও বুদ্ধিমান এবং জীবন্ত করে তুলবে। এই এআই প্রযুক্তি প্লেস্টেশন গেমের চরিত্রগুলিকে বাস্তব সময়ে শিখতে, অভিযোজন করতে এবং নতুন কৌশল তৈরি করতে সক্ষম করবে, যা খেলোয়াড়দের জন্য একটি আরও চিত্তাকর্ষক অভিজ্ঞতা সৃষ্টি করবে। সনি এই প্রযুক্তির মাধ্যমে প্লেস্টেশন গেমের চরিত্রগুলোকে আরও বাস্তবসম্মত, চিন্তাশীল এবং উদ্ভাবনীভাবে তৈরি করতে চাইছে, যা গেমিং শিল্পে এক নতুন যুগের সূচনা হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *