1. প্রতিসামরিক শুল্ক ভারতের উপর তেমন প্রভাব ফেলবে না: SBI রিসার্চ
এটা জানা গেছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিসামরিক শুল্ক ভারতে তেমন প্রভাব ফেলবে না, এমনটাই জানিয়েছে SBI রিসার্চ। ব্যাংকের গবেষণার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপ ভারতীয় রপ্তানিকে কিছুটা প্রভাবিত করতে পারে, তবে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে এর প্রভাব সীমিত থাকবে। ভারতের বাজার অনেক বেশি বৈচিত্র্যময় এবং একক দেশভিত্তিক নির্ভরতা কম। ভারত এখন বিভিন্ন দেশে পণ্য রপ্তানি করে এবং এতে শুল্ক ব্যবস্থার পরিবর্তনগুলি খুব বড় প্রভাব ফেলবে না।
ভারতের রপ্তানি বৃদ্ধির হার বাড়ছে এবং বিশেষ করে সেবা, সফটওয়্যার ও উচ্চ মানের পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ, চিন, এবং অন্যান্য দেশগুলির বাজারে এর স্থান শক্তিশালী হচ্ছে। ভারত সরকারি পরিকল্পনা যেমন ‘আত্মনির্ভর ভারত’ এর মাধ্যমে স্বনির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে ভারতীয় কোম্পানিরা সরবরাহ চেইন আরও বৈচিত্র্যময় করার দিকে নজর দিচ্ছে, যা শুল্কের এই পরিবর্তনগুলি থেকে ভারতকে রক্ষা করবে।
তবে, SBI রিসার্চের প্রতিবেদনে সতর্কতা প্রকাশ করা হয়েছে যে শুল্ক সম্পর্কিত যেকোনো আরও উত্তেজনা যদি তৈরি হয়, তবে কিছু খাত যেমন স্টিল, রসায়ন, এবং বস্ত্র খাতে এর ক্ষতি হতে পারে।
2. যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপীয় শুল্ক সংঘাত ৯.৫ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যবসার ঝুঁকি তৈরি করবে
যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের মধ্যে চলমান শুল্ক সংঘাত বিশ্বব্যাপী ব্যবসা এবং অর্থনীতি জন্য ৯.৫ ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যবান ক্ষতি তৈরি করতে পারে। এই শুল্ক যুদ্ধের কারণে বহু আন্তর্জাতিক কোম্পানি এবং ব্যবসার উপর চাপ পড়েছে। দুই পক্ষই একে অপরকে শুল্ক আরোপ করছে, যার ফলে বিশাল অর্থনৈতিক ক্ষতি এবং বহুমুখী সরবরাহ চেইন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বিশ্বব্যাপী কোম্পানি, বিশেষ করে স্বয়ংক্রিয় গাড়ি শিল্প, রসায়ন এবং বিমানের খাতে এ শুল্ক যুদ্ধের প্রভাব গুরুতর হতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে শুল্কের ফলে দাম বাড়বে এবং এটি ব্যবসায়িক পরিবেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করবে। অন্যদিকে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের গতিতে বাধা আসবে এবং বিনিয়োগ হ্রাস পাবে, যেহেতু ব্যবসায়ীরা ভবিষ্যত শুল্ক নীতির প্রতি অনিশ্চিত।
বিশ্বব্যাপী শিল্প সেক্টরগুলিতে কম্পানি মুনাফা কমাতে পারে এবং এটি পণ্য এবং পরিষেবার জন্য দাম বৃদ্ধি করবে, যা গ্রাহকদের উপর খারাপ প্রভাব ফেলবে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা ও সোনালী বাজারের মূল্যেও প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষজ্ঞরা শুল্ক যুদ্ধের দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সরকারগুলোর কাছ থেকে সমঝোতার আহ্বান জানিয়েছে।
3. পাকিস্তান আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ থেকে ₹৮৬৯ কোটি লোকসান করবে
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ থেকে ভারতীয় ক্রিকেট দলের অনুপস্থিতির কারণে পাকিস্তান প্রায় ₹৮৬৯ কোটি লোকসান করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভারতের অংশগ্রহণের অভাবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (PCB) জন্য বিশাল আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, কারণ ভারতীয় ক্রিকেট দলের উপস্থিতি ছাড়া আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের আয় ও দর্শক সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমে যাবে।
ভারতীয় সমর্থকদের ব্যাপক উপস্থিতি এবং ভারতীয় টিভি চ্যানেলের উচ্চ আয় সরবরাহের কারণে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এর আর্থিক সাফল্য পাওয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। পাকিস্তান যে খরচ এবং প্রস্তুতি নিয়ে এই ইভেন্ট আয়োজন করেছিল, সেটি ভারতের অনুপস্থিতিতে দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
পাকিস্তান এর পর্যটন এবং হোটেল শিল্পের জন্যও ক্ষতিকর হতে পারে, যেহেতু ভারতের দর্শকরা আয় এবং অন্যান্য ব্যবসায়িক সুযোগের জন্য মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিল। PCB এবং পাকিস্তান সরকার পরবর্তী সময়ে ভারতের সঙ্গে এই সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।
4. এফআইআই বিক্রি মার্চ মাসে ₹৩০,০০০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে
বিদেশি প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা (FII) মার্চ মাসে ভারতের শেয়ার বাজার থেকে ₹৩০,০০০ কোটি টাকা বিক্রি করেছে, যা ভারতের স্টক মার্কেটে বিশাল অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। FIIs ভারতের শেয়ার বাজারে দীর্ঘদিন ধরে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এবং এদের বিনিয়োগ ভারতে আর্থিক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে সহায়ক ছিল।
বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা, উচ্চ সুদের হার এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা সহ নানা কারণে এফআইআইরা তাদের বিনিয়োগ কমিয়ে দিয়েছে। এর ফলে বাজারে দরপতন ঘটেছে এবং স্টক মার্কেটের মান কমেছে। এফআইআইদের এই বিশাল পরিমাণ বিক্রির ফলে ভারতের রুপি মুদ্রা ডলারের তুলনায় দুর্বল হয়েছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘমেয়াদীভাবে ভারতের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভাল থাকতে পারে, তবে এক্ষেত্রে স্বল্পমেয়াদী বাজার অস্থিরতা থেকে বেরিয়ে আসতে কিছু সময় লাগবে।
5. ভারতের পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি ফেব্রুয়ারিতে ৮ মাসের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে
ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতের পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি ৮ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। পাইকারি মূল্য সূচক (WPI) অনুযায়ী, খাদ্যদ্রব্য, জ্বালানি এবং প্রস্তুত পণ্যগুলির মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ভারতের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে। প্রধানত শস্য, শাকসবজি, এবং দুধের মতো খাদ্যসামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি মুদ্রাস্ফীতির জন্য দায়ী।
বিশ্বব্যাপী তেল ও কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি, পাশাপাশি ভারতে খরার প্রভাব এবং সরবরাহ চেইন সমস্যাগুলিও মুদ্রাস্ফীতির উত্থানের কারণ। এ পরিস্থিতি সরকারের এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ, কারণ মুদ্রাস্ফীতি বাড়লে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পায় এবং জনমনে অস্থিরতা তৈরি হয়।
এই পরিস্থিতিতে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক, রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (RBI), সুদের হার বৃদ্ধি করতে পারে বা অন্যান্য নীতি প্রয়োগ করতে পারে। তবে, খরচ এবং মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা সরকারের জন্য একটি বড় পরীক্ষার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
6. ব্যাংকগুলি গত ১০ বছরে ₹১৬.৩৫ লাখ কোটি মন্দ ঋণ মাফ করেছে
ভারতের ব্যাংকগুলি গত দশ বছরে ₹১৬.৩৫ লাখ কোটি মন্দ ঋণ মাফ করেছে, যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে। এসব ঋণ মূলত তারিখের পর থেকে পরিশোধের ক্ষমতা হারানো গৃহস্থালি এবং কর্পোরেট খাতের দায়বদ্ধতা। তবে, ব্যাংকগুলি এই ঋণ মাফ করার মাধ্যমে তাদের ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করেছে।
এটি এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে যেখানে বেসরকারি এবং পাবলিক ব্যাংকগুলির খসড়া সম্পর্কিত সমস্যা সমাধান করা বেশ কঠিন। পাশাপাশি, সরকার ও ব্যাংকগুলির কাছে এই ধরনের ঋণ মাফের সিদ্ধান্তের কারণে নীতিগত দ্বন্দ্ব তৈরি হতে পারে, কারণ এতে রিজার্ভ এবং পরবর্তী বিনিয়োগের জন্য স্থান সংকুচিত হতে পারে।
এছাড়া, মন্দ ঋণ মাফের কারণে ব্যাংকগুলির মূলধন পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হতে পারে, বিশেষত যখন ঋণ পুনঃপ্রদান সক্ষমতা কমে যায়।
7. ওলা ক্যাব ১৫% কমিশন কমিয়েছে
ওলা ক্যাব, ভারতীয় রাইড-হেইলিং কোম্পানি, তাদের চালকদের জন্য কমিশন ১৫% পর্যন্ত কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে চালকদের আয়ের হার বৃদ্ধি পাবে এবং তারা আরও উৎসাহিত হয়ে গাড়ি চালানোর জন্য নিবেদিত হবে।
ওলা’র এই পদক্ষেপটি চালকদের প্রতি কোম্পানির মনোযোগ এবং তাদের সমর্থন দেখায়। করোনা মহামারী পরবর্তীকালে বিভিন্ন রাইড শেয়ারিং কোম্পানির জন্য ব্যবসা চ্যালেঞ্জিং ছিল, এবং ওলা কম কমিশন রাখার মাধ্যমে চালকদের জন্য আরও একটি সুবিধা প্রদান করছে।
এছাড়া, এর মাধ্যমে ওলা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম হবে এবং নিজের বাজার শেয়ার আরও বাড়াতে পারে।
8. অ্যামাজন ভারতের আইপিও প্রক্রিয়া শুরু করবে
বিশ্বের বৃহত্তম ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজন ভারতের বাজারে প্রবেশের জন্য আইপিও (Initial Public Offering) প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অ্যামাজন ভারতীয় শেয়ার বাজারে একটি অংশ বিক্রি করবে এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি নতুন সুযোগ তৈরি হবে।
ভারতের বাজারে অ্যামাজনের উপস্থিতি অত্যন্ত শক্তিশালী। তারা শুধুমাত্র ই-কমার্স নয়, পেমেন্ট সলিউশন, ক্লাউড কম্পিউটিং এবং গ্রাহক সেবা খাতে ব্যাপক দখল তৈরি করেছে। এর আইপিও প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করা বিনিয়োগকারীদের জন্য লাভের সুযোগ তৈরি হতে পারে, বিশেষ করে কোম্পানির ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা।
9. সচিন তেন্ডুলকর ‘পার্পল ল্যাবস’ এ বিনিয়োগ করেছেন
ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকর ‘পার্পল ল্যাবস’ নামে একটি স্টার্টআপে বিনিয়োগ করেছেন। এটি একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ডেটা অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করে সমস্যার সমাধান করছে। তেন্ডুলকরের এই বিনিয়োগ প্রযুক্তি খাতে তার আগ্রহের প্রতিফলন।
তিনি এই উদ্যোগে বিনিয়োগ করেছেন কারণ তিনি বিশ্বাস করেন যে, ভবিষ্যতে প্রযুক্তি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দুনিয়ার বৃহত্তম উদ্ভাবন করবে। সচিনের অংশগ্রহণ পার্পল ল্যাবসের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যা তাদের আরও বিনিয়োগ এবং সমর্থন লাভ করতে সহায়ক হবে।
10. পতঞ্জলি ম্যাগমা জেনারেল ইনসুরেন্স ₹৪৫০০ কোটি টাকায় অধিগ্রহণ করবে
ভারতের অন্যতম বৃহত্তম অঙ্গপ্রতিষ্ঠান পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ ম্যাগমা জেনারেল ইনসুরেন্স কোম্পানির ১০০% শেয়ার অধিগ্রহণ করতে যাচ্ছে ₹৪৫০০ কোটি টাকায়। পতঞ্জলি এর মাধ্যমে তাদের ব্যবসা আরও সম্প্রসারণ করতে চায় এবং নিজেদের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান শক্তিশালী করতে চাইছে।
বীমা খাতে পতঞ্জলির প্রবেশ তাদের উন্নতির এক নতুন দিগন্ত উন্মুক্ত করবে। পতঞ্জলির ব্র্যান্ড প্রচারণা এবং খ্যাতির মাধ্যমে ম্যাগমা জেনারেল ইনসুরেন্সের গ্রাহকসংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং বাজারে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি হবে।
11. ভারতের ভোজ্য তেল আমদানি ৪ বছরের সর্বনিম্নে পৌঁছেছে
ভারতের ভোজ্য তেল আমদানি ৪ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছেছে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য একটি ইতিবাচক ইঙ্গিত। গত কয়েক বছর ধরে, বিশ্ব বাজারে ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধি এবং ভারতের প্রয়োজনীয় আমদানি উচ্চ ছিল। তবে, স্থানীয় উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে আমদানির পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে।
এটি ভারতের কৃষি খাতের উন্নতির পাশাপাশি স্বনির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে সরকারের প্রচেষ্টাকে শক্তিশালী করে তুলেছে। স্বতন্ত্র পণ্য উৎপাদনে আগ্রহ বৃদ্ধি, দেশীয় উৎপাদন এবং বিদেশী তেলের উপর নির্ভরশীলতা কমানো, দেশের পক্ষে অত্যন্ত ইতিবাচক।
12. টেসলা চীনে ২০% সস্তা গাড়ি লঞ্চ করবে
বিশ্বের বিখ্যাত ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাতা টেসলা, চীনে ২০% সস্তা গাড়ি লঞ্চ করার পরিকল্পনা নিয়েছে। টেসলা এর মাধ্যমে চীনে তাদের বাজার দখল আরও শক্তিশালী করতে চাইছে। চীন হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম গাড়ি বাজার, এবং টেসলার এই সিদ্ধান্ত চীনা ভোক্তাদের মধ্যে বৈদ্যুতিন গাড়ির গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর দিকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।
এই সিদ্ধান্তটি টেসলাকে আরও সাশ্রয়ী মূল্যে গাড়ি সরবরাহ করতে সক্ষম করবে, ফলে আরও বেশি মানুষ ইলেকট্রিক গাড়ি কিনতে আগ্রহী হবে। চীনে টেসলার প্রবৃদ্ধি এবং প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান শক্তিশালী করার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা যাচ্ছে।
13. এলন মাস্ক, ওপেনএআই একসাথে ট্রায়াল ত্বরান্বিত করতে সম্মত
টেসলা এবং স্পেসএক্সের CEO এলন মাস্ক এবং ওপেনএআই একসাথে তাদের আইনগত প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার বিষয়ে একমত হয়েছেন। ওপেনএআই-এর সাথে আইনগত বিরোধের কারণে তাদের সম্পর্ক জটিল হয়ে উঠেছিল, তবে তারা এই বিষয়ে সমাধানের জন্য দ্রুত ট্রায়াল এগিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন এই উদ্যোগটি ওপেনএআই-এর ভবিষ্যত পরিচালনা এবং প্রযুক্তিগত সমাধানের উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। উক্ত ট্রায়ালটি এই ক্ষেত্রের বৃহত্তম প্রযুক্তিগত বিতর্কগুলোর মধ্যে একটি হতে পারে, যা বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
14. স্পেসএক্স ট্রাম্পের কাছে বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা নিয়ে আবেদন করেছে
স্পেসএক্স, এলন মাস্কের মালিকানাধীন মহাকাশ প্রযুক্তি সংস্থা, বাণিজ্যিক বাধা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে আবেদন করেছে। স্পেসএক্স যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের বাজারে তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণের জন্য কিছু বাণিজ্যিক প্রতিবন্ধকতা এড়িয়ে চলতে চাচ্ছে।
স্পেসএক্সের এই পদক্ষেপ তাদের প্রযুক্তি উদ্ভাবনে প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা। ট্রাম্পের সরকারের ব্যবসায়িক নীতি এবং শুল্ক সংস্কার, স্পেসএক্সের জন্য সাফল্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
15. ইনফোসিস $১৭.৫ মিলিয়ন পরিমাণ সাইবার আক্রমণ মামলায় নিষ্পত্তি করবে
ভারতের বৃহত্তম আইটি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ইনফোসিস $১৭.৫ মিলিয়ন পরিমাণ সাইবার আক্রমণ মামলায় নিষ্পত্তির জন্য চুক্তি করেছে। ইনফোসিস গত বছর সাইবার আক্রমণের শিকার হয়, যার ফলে তাদের তথ্যভাণ্ডার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এবং গ্রাহক তথ্য চুরি হয়েছিল।
এটি ইনফোসিসের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল, তবে তারা এই মামলা নিষ্পত্তি করে ব্যবসায়িক স্থিতিশীলতা অর্জনের চেষ্টা করছে। সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে এই পদক্ষেপটি সমস্ত প্রযুক্তি সংস্থার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা, যে তাদের তথ্য সুরক্ষায় আরও মনোযোগ দেওয়া উচিত।
16. সেন্সেক্স ৫ দিনের পতন বিরতির পর উর্ধ্বমুখী হয়েছে
ভারতের শেয়ার বাজারের প্রধান সূচক সেনসেক্স গত পাঁচ দিনের পতনের পর আবার উর্ধ্বমুখী হয়েছে। এর ফলে বাজারে নতুন বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে এসেছে এবং শেয়ার বাজারে কিছুটা ইতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
বাজারের এই উর্ধ্বগতি দেশীয় এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভরশীল। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক বাজারে ভরসা বৃদ্ধি ও স্থানীয় অর্থনীতি শক্তিশালী হওয়া এর মূল কারণ হতে পারে। সেনসেক্সের এই উর্ধ্বগতি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিশ্বাস এবং আশাবাদ জাগাতে সাহায্য করেছে।